এডমুন্ড বার্ক (1730-1797) জ্যঁ জাক রুশোর (1712-1778) লেখায় self-determination ধারণাটির বীজ লুকায়িত থাকলেও উড্রো উইলসনকে (1856-1924) এর জনক বলা হয়। কিন্তু উইলসন ধারণাটির আন্তর্জাতিকীকরণ করলেও এর তাত্ত্বিক বিকাশ ঘটেছে ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের (1870-1924)  ১৯০৩ সাল থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যকার লেখালেখিতে। Rita Augestad Knudsen তাঁর অপ্রকাশিত পিএইচডি থিসিসে (২০১৩) লেনিনের ধারণাকে র‌্যাডিক্যাল আর উইলসনের ধারণাকে লিবারেলকনজার্ভেটিভ বলে আখ্যায়িত করেছেন। গত শতকে এবং এই শতকেও লিবারেলকনজার্ভেটিভ ধারণাটির প্রাধান্য লাভ করতে দেখা গেছে। তবুও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পুনঃপুন উইলসনিয় লিবারেল-কনজার্ভেটিভ self-determination ধারণার ব্যবহার প্রমাণ করে লেনিনের র‌্যাডিক্যাল ধারণা একেবারে অপসৃত হয়নি। Knudsen লিখেছেন, ‘Without the setting engendered by Lenin’s discourse, Wilson might not have referred to ‘self-determination’ on the international platform at all, and the internationalisation of the concept might have taken a very different form. (Knudsen 2013: 89-90)

লেনিন রোজা লুক্সেমবুর্গের (1871-1919) সাথে তাত্ত্বিক বাহাসে লিপ্ত হয়েছিলেন। রোজা লুক্সেমবুর্গ মনে করতেন self-determinationএর নামে শ্রমিক শ্রেণীকে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীতে বিভাজনের মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনকে দ্বিধাবিভক্ত করে ফেলা হয়। কিন্তু লেনিন ব্যাপারে ভিন্ন মত পোষণ করতেন। লেনিন দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেন, যারা স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে আলাদা হবার অধিকার দাবি করে তাদেরকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে অভিযুক্ত করা বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকারকে পারিবারিক ব্যবস্থা ধ্বংসের নামান্তর বলে অভিযোগ করার মতই নির্বুদ্ধিতা এবং অসততা।“ ঠিক এই কথাগুলোই জহির রায়হান (১৯৩৩-১৯৭২) তাঁর বিখ্যাত ডকুমেন্টারি ফিল্ম Stop Genocide-এর বাংলা ডাবিংয়ে ব্যবহার করেছিলেন। লেনিনের কাছে freedom as equality ছিল self-determination ধারণার উৎপত্তি বিন্দু। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সাম্যই ছিল লেনিনের তত্ত্বের ভিত্তি। এর জন্য জাতিগোষ্ঠীগুলো আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকার রাখে। জোসেফ স্ট্যালিন (১৮৭৮-১৯৫৩) people/nation ধারণার ব্যাপকতর সংজ্ঞা দিলেও self-determinationকে স্রেফ autonomyতে পর্যবসিত করেন। স্ট্যালিন Marxism and the National Question (১৯১৩) বইয়ে লেখেন, “একটি জাতি হচ্ছে ঐতিহাসিকভাবে বিকশিত স্থায়ী মানবগোষ্ঠী যা গঠিত হয়- সাধারণ ভাষা, ভৌগলিক এলাকা, অর্থনৈতিক জীবন এবং মানসিক প্রকৃতি যা সাধারণ সংস্কৃতিতে রূপ লাভ করেছে- এ সকলের ভিত্তিতে।“ লেনিনের তত্ত্বে জাতি/জনগোষ্ঠী ধারণায় সাংস্কৃতিক দিকটি অনুপস্থিত ছিল।

১ম বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে উইলসন ১৯১৮ সালের ৭ই জানুয়ারি Fourteen Points ঘোষণা করেন। এটি ছিল লেনিনের জারি করা শান্তির ডিক্রির (Decree on Peace) জবাব। সেখানে self-determination শব্দটির উল্লেখ না থাকলেও শান্তির পূর্ব শর্ত হিসাবে ধারণাটিকে গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে অটোমান সাম্রাজ্যে বসবাসরত তুর্কি জনগোষ্ঠীর স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তুর্কিদেরও নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকার আছে বলে স্বীকৃত হয়। একই বছরের ১১ই ফেব্রুয়ারিতে  ঘোষিত Four Principles self-determination শব্দটি উইলসন প্রথম ব্যবহার করেন। উইলসনের ধারণার ভিত্তি ছিল freedom as peace, stability and non-interferenceউইলসনের ধারণাটি আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত হলেও Covenant of League of Nations ধারণাটির জায়গা হয়নি। কিন্তু আলান্ড আইল্যাড দ্বন্দ্বে লিগ অব ন্যাশনস যে মতামত দেয় তা ধারণাটির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করে।

প্রথম যে আন্তর্জাতিক দলিলে ধারণাটি সশরীরে হাজির হয় সেটি হল UN Charter এর আগে ২য় বিশ্বযুদ্ধকালীন মিত্র শক্তি কর্তৃক গৃহীত Atlantic Charter self-determination স্বীকৃত হলেও উইন্সটন চার্চিল (১৯৭৪-১৯৬৫) এর বৈশ্বিক প্রয়োগে অনাগ্রহী ছিলেন। কেননা তিনি তার উপনিবেশগুলো ছাড়তে রাজি ছিলেন না। ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টও (১৮৮২-১৯৪৫) ব্যাপারে চার্চিলকে ঘাটাতে চাননি। চার্চিলের পরে লেবার পার্টির নেতা ক্লেমেন্ট এটলি (১৮৮৩-১৯৬৭) ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার উপনিবেশগুলোকে স্বাধীনতা দেবার ঘোষণা দেন। কিন্তু অন্যান্য উপনিবেশ রয়েই যায়। চার্চিলও আবার ক্ষমতায় ফিরে আসে। তাছড়া অন্যান্য ইউরোপিয় শক্তিগুলো দুইটি বিশ্বযুদ্ধে মেতে ছিল কি অত সহজে উপনিবেশগুলো হাতছাড়া করার জন্য?  সুতরাং বিউপনিবেশায়ন প্রভুদের সদিচ্ছার মাধ্যমে হাসিল হয় না। এর জন্য আন্তর্জাতিক আইন তৈরির প্রয়োজন হয়। এমনকি ১৯৬০ সালে Decolonisation Declaration (বি-উপনিবেশায়ন ঘোষণাপত্র) ঘোষিত হবার পরও আলজেরিয়াকে আরও দুই বছর ফরাসি উপনিবেশবাদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হয় মুক্তির জন্য, স্বাধীনতা জন্য।

এরপর ১৯৬৬ সালে ICCPR ICESCRএর ১নং অনুচ্ছেদে একই ভাষায় self-determinationকে মৌলিক মানবাধিকার হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৯৭০ সালের Friendly Relation Declarationএও স্বীকৃত হয় right to self-determination ধারণা করা হয়েছিল বিউপনিবেশায়ন কালের পর পৃথিবীতে আর কোন নতুন রাষ্ট্রের জন্ম লাভ সম্ভব নয়। এছাড়া তৎকালীন শীতল যুদ্ধ  নতুন রাষ্ট্রের জন্মকে আরও অসম্ভব করে তোলে। সেই জটিল বিশ্ব পরিস্থিতিতে জন্ম লাভ করা একমাত্র দেশ হল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বলা হয়, যেহেতু পাকিস্তান সরকার অন্যায় যুদ্ধ গণহত্যা এবং নানাবিধ নৃশংস্য অত্যাচার পরিচালনার দ্বারা বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিদের পক্ষে একত্রিত হয়ে শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব  করে তুলেছে সেহেতু বাংলাদেশের ‘জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য’ স্বাধীনতা ঘোষণার অধিকার আছে। কারণ আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত অধিকার হল right to self-determination। যদিও আন্তর্জাতিক আইনের কথাটি সরাসরি ঘোষণাপত্রে বলা নেই। কিন্তু তা আমাদের বুঝে নিতে কষ্ট হয় না।

শীতল যুদ্ধের পরিসমাপ্তিতে কতগুলো নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হয় যেসব অঞ্চল একসময় জারের সাম্রাজ্যের অধীনে চলে গিয়েছিল।  যেগুলোর স্বাধীনতার জন্য লেনিন কলম ধরেছিলেন। কিন্তু স্ট্যালিনের কর্তৃত্ববাদী শাসন  অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অধিকার খর্ব করে। যুগোস্লাভিয়া ভেঙ্গে কয়েকটি রাষ্ট্র হয়। এই ভেঙ্গে পড়া রাষ্ট্রে নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্যই সার্ব শোভিনিস্টরা হত্যাযজ্ঞ চালায় বসনিয়ায়। কসোভোর জাতিগত আলবেনিয়দের বিরুদ্ধেও যুদ্ধে লিপ্ত হয়। হত্যা করা হয় নিরীহ কসোভারদেরকে। এই প্রেক্ষাপটে কসোভোর স্বাধীনতার প্রশ্ন সামনে আসে। Knudsen দাবি করেছেন, শীতল যুদ্ধের অবসানের পর র‌্যাডিকাল ধারণা আগের চেয়ে জোরালোভাবে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। এর প্রমাণ হিসাবে হাজির করেছেন, কসোভোর একপক্ষীয় স্বাধীনতা ঘোষণাকে (Unilateral Declaration of Independence) ২০১০ সালে ICJ কর্তৃক বৈধ বলে স্বীকৃতি দানকে। কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে লিবারেলকনজার্ভেটিভ ধারণাই রয়ে গেছে। বরং পূর্বে যেখানে  হস্তক্ষেপ না করার নীতি ছিল, হয়ত শীতল যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে হস্তক্ষেপ করা আজকের মত সহজ ছিল না বলেই। কিউবার মিসাইল সংকট এর জ্বলজ্বলে উদাহরণ।  সেখানে শীতল যুদ্ধোত্তর এককেন্দ্রিক বিশ্বে  বেছে বেছে হস্তক্ষেপের নীতি  নিয়েছে বিশ্বশক্তিগুলো।  বড় বড় বিশ্বশক্তিগুলো (great powers) যেসব স্বাধীনতা সংগ্রামে নিজেদের স্বার্থ দেখে সেসব আন্দোলন সফল হয়। যেমন দক্ষিণ সুদান, কসোভো, পূর্ব তিমুর ইত্যাদি। অন্যদিকে চেচনিয়া, ফিলিস্তিন, কাশ্মির, কুর্দিস্তান গুমরে কাঁদে। একেই বলে great powers’ rule

Right to self-determinationএর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ ছিল যে একে সংজ্ঞায়ন করা যায় না এবং এর কন্টেন্টও নির্ধারণ করা যায় না। ১৯৬০ সালের বিউপনিবেশায়ন ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে আমরা কন্টেন্ট সংক্রান্ত একটি ব্যাখ্যা পাই। সেটি হলজাতিগত আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার বলতে উপনিবেশিত জাতিগুলোর আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার। কিন্তু কোন আন্তর্জাতিক দলিলেজাতি কোন সংজ্ঞা নেই। তাছাড়া বিউপনিবেশায়নের মাধ্যমে তো জাতিগত আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের পুরো মীমাংসা হয়নি। Uti possidetis juris ধারণার মাধ্যমে উপনিবেশ কবলিত অঞ্চলগুলো উপনিবেশক শক্তিগুলোর একে দেওয়া ভূগোল জনগোষ্ঠীজাতিগোষ্ঠীর ধারণা বিবর্জিত মানচিত্রকে মেনে নেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক আইনে। প্রকৃত প্রস্তাবে জাতিগোষ্ঠীর আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এভাবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়নি। আন্তর্জাতিক আইন যে ব্যাপারে যথেষ্ট উদ্যোগী নয় তা দেখিয়েছেন মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন তার Ethnicity and International Law বইয়ে।

বর্তমানে আমরা যে রাষ্ট্রকাঠামোতে বাস করছি তা Treaty of Westphalia- সন্তান। আধুনিক সার্বভৌম রাষ্ট্রের সম্মতির ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক আইন গড়ে ওঠে। রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব সবসময় চায় রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা বজায় রাখতে। সুতরাং ঠেলায় পড়ে জাতিগত আত্ননিয়ন্ত্রণের অধিকার স্বীকৃত হলেও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতাকেও (territorial integrity) স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। মার্টি কসকিনেমি লিখেছেন, Sovereignty and together with it a set of territorial rights and duties are something external to the law, something the law must recognize but which it cannot control. (Koskenniemi 1990: 14) শক্তিমান রাষ্ট্রগুলো তার অভ্যন্তরীণ স্বাধিকারস্বাধীনতা তথা আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে অতি সহজেই ভূলুণ্ঠিত করতে পারে। সম্প্রতি ইরাকি কুর্দিস্তানে গণভোট আয়োজনের পর ইরাক, তুরস্ক ইরানের অবস্থান এরকমটিই। যখন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে শক্তি দুর্বল থাকে, তখন বৈশ্বিক শক্তিগুলো যদি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রকে সমর্থন দেয়, তাহলেও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার খর্ব হতে পারে। যেমন আরাকান বা রাখাইন অঞ্চল। এই  হলো great powers’ rule. কসোভোর লোকদের ভাগ্য ভাল হলেও রোহিঙ্গাদের ভাগ্য ভাল নয়। যেখানে নিয়ম বা আইন নেই বা থাকলেও মানা হয় না, সেখানে আমরা কেবল ভাগ্যের দোহাই দিতে পারি!

Knudsen যাকে লিবারেলকনজার্ভেটিভ ধারণা বলেছেন সেটিকে আমরা বলতে পারি কনজার্ভেটিভ ধারণা। কানাডার সুপ্রিম কোর্টের Reference re Secession of Quebec (১৯৯৮) পরামর্শমূলক মতামতে (Advisory Opinion) যে  ধারণা প্রতিফলিত হয়েছে তাকে বরং বলা যায় লিবারেল। কানাডার সুপ্রিম কোর্টের অবস্থান  লুডভিগ ফন মিজেসের self-determination as individual right তত্ত্বের সাথে অনেকটা যায়। কানাডার সুপ্রিম কোর্ট কুইবেকের স্বাধীনতা প্রশ্নে গণভোট আয়োজনকে কানাডার সাংবিধানিক আইনের চারটি মৌলিক ভিত্তিfederalism, democracy, constitutionalism and rule of law এবং minority rightsএর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মত দিয়েছেন। অন্যদিকে, সম্প্রতি কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট আয়োজনকেই স্পেনের সাংবিধানিক আদালত অবৈধ ঘোষণা করার মাধ্যমে সেদেশ যে কানাডার মত লিবারেল হয়ে উঠতে পারেনি তা প্রমাণ করে। ICJ-এও আরও লিবারেল হয়ে উঠতে হবে। ICJ-এর ক্ষমতা ও সীমার মধ্যে থেকে কানাডার সুপ্রিম কোর্টের অবস্থান নেওয়া সম্ভব। ভবিষ্যতের কোন মতামতে হয়ত তার প্রতিফলন থাকবে!

শেষ করা যাক বক্তব্য গুছিয়ে আনার মাধ্যমে। লেনিনের ধারণাকে র‍্যাডিকেল, কানাডার সুপ্রিম কোর্টের অবস্থানকে লিবারেল এবং উইলসনের ধারণাকে কনজার্ভেটিভ হিসাবে আখ্যায়িত করে right to self-determination সংক্রান্ত ধারণাগুলোকে নতুনভাবে বিন্যস্ত করা যায়। লেনিনের ধারণায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে নতুন রাষ্ট্রের জন্ম লাভ স্বীকৃত হয়েছে। প্রয়োজনে এই জন্ম সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে হতে পারে। কানাডার সুপ্রিম কোর্ট গণভোটের বিজয়ী স্বাধীনতাকামীদের মাতৃ-রাষ্ট্রের (parent state) সাথে সমঝোতার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় সশস্ত্র যুদ্ধের প্রয়োজন হয় না। তবে স্পেনের মত মাতৃ-রাষ্ট্র যদি গণভোট  আয়োজন করতে না দেয় বা গণভোটের রায় না মানে তবে পরবর্তী ধাপ কী হবে তা কানাডার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নেই। অন্যদিকে, উইলসনের ধারণায় মাতৃ-রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে থেকে কেবল internal self-determination-এর স্বীকৃতি আছে। এই ধারণায় শান্তি ও স্থিতির বিরুদ্ধে যায় এমন কোন কর্মকাণ্ড স্বীকৃতি পায়নি। এই ধারায় external self-determination-কে নিরুৎসাহিত করা হয়।  

দোহাই

Knudsen, Rita Augestad (2013). Moments of Self-determination: The Concept of ‘Self-determination’ and the Idea of Freedom in 20th and 21st-Century International Discourse, (London School of Economics and Political Science: Etheses)

Koskenniemi, Martti (1990). ‘The Politics of International Law’, 1 European Journal of International Law 4

Sterio, Milena (2013). The Right to Self-Determination under International Law: “Selfistans”, secession, and the rule of the great powers, (London & New York: Routledge)

Contributor
Comments to: আন্তর্জাতিক আইনে জাতিগত আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার

Your email address will not be published. Required fields are marked *